৯ দিন পর খুদে ফুটবলারদের সন্ধান, উদ্ধারে লাগবে ১ মাস

থাইল্যান্ডের একটি গুহায় হারিয়ে যাওয়ার ৯ দিন পর ১২ ক্ষুদে ফুটবলার ও তাদের কোচ জীবিত আছেন। ছিয়াং রাইয়ের থাম লুয়াং গুহা থেকে নৌবাহিনীর বিশেষ দল তাদের খুঁজে পেয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির আঞ্চলিক গভর্নর।

তবে তাদেরকে রাতারাতি উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদেরকে উদ্ধার করতে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।

থাইল্যান্ড সেনাবাহিনী জানিয়েছে, খুদে ফুটবলারদের উদ্ধার করতে হলে তাদেরকে ডুবসাঁতার শিখতে হবে অথবা বন্যার পানি কমার জন্য কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে।

এর আগে গত ২৩ জুন থেকে তারা নিখোঁজ ছিলেন। ভ্রমণে গিয়ে তারা একটি গুহায় আটকে পড়েন। ১২ ফুটবলার হলো মো পা বা ওয়াইল্ড বোয়ার ফুটবল দলের সদস্য। তাদের সঙ্গে ছিলেন সহকারী কোচ ২৫ বছরের এক্কাপোল জানথাওং।

চিয়াং রাইয়ের প্রাদেশিক গভর্নর নারোংসাক ওসোত্তানাকর্ন বলেছেন, উদ্ধারকর্মীরা নিখোঁজ ১৩ জনকে নিরাপদ অবস্থায় খুঁজে পেয়েছেন। এখন চলছে উদ্ধার অভিযান। তবে এর মধ্যেই তাদের কাছে যেভাবেই হোক খাবার পৌঁছানো হবে। বেশ কয়েক দিন ধরে তারা না খেয়ে রয়েছে। এছাড়া ডুবুরির প্রশিক্ষণ রয়েছে এমন একজন চিকিৎসককেও পাঠানো হবে তাদের কাছে।

তিনি জানান, যে জায়গাটায় ওই ১৩ জন আটকা পড়েছে বলে প্রথমে মনে করা হয়েছিল, তার থেকে ৪০০ মিটার দূরে তাদের পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় ও দীর্ঘ গুহা থাম লাং। গুহার পথও যথেষ্ট কঠিন। পাথরের চাঁই চারিদিকে। জলমগ্ন গুহার ভেতরের রাস্তা বেশ পিচ্ছিল। ভারী বৃষ্টি অনবরত হওয়ায়, গুহা আরো ভয়ানক। এই গুহা দিয়ে টানা হাটলে পৌঁছানো যাবে মিয়ানমারে। তাই উদ্ধারকাজে মিয়ানমার সেনারা সাহায্য চেয়েছে থাইল্যান্ড।

বর্ষাকালে গুহার ভেতরে বন্যা হয়, যা সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।এর আগে ওই কিশোরদেরকে উদ্ধার করতে হলে তাদেরকে ডুবসাঁতার শিখতে হবে। কারণ গুহার নিচে উদ্ধারে পথে অনেক জায়গা পুরোপুরি কর্দমাক্ত, কোথাও ১৬ ফুট পর্যন্ত পানি, কোথাও পুরোটাই পানিতে পূর্ণ, যেখানে কিছুই দেখা যায় না। এ ছাড়াও অনেক স্থান খুবই বিপজ্জনক।

এদিকে, খুদে ফুটবলারদের উদ্ধারে গুহার পানি কৃত্রিমভাবে সরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন উদ্ধারকারীরা।